![]() |
High & Low Blood Pressure |
যেহেতু হৃৎপিন্ড সংকোচিত হয়ে ধমনীতে রক্ত প্রেরণ করে। সে কারণে রক্ত চাপের মধ্যে থাকে। যখন হৃৎপিন্ড শিথিল হয়, ধমনীর রক্ত তখন কম চাপের মধ্যে থাকে। সেজন্য প্রত্যেক বার হৃদস্পন্দনের সময় ধমনীর রক্ত একটি চক্রের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে। রক্ত ধমনী পথে প্রবাহের সময় ধমনীর দেয়ালে যে পরিমাণ পার্শ্বচাপ লম্বভাবে প্রয়োগ করে তাকে রক্তচাপ (Blood Pressure) বলে। পারদ দেয়া একটি বিশেষ যন্ত্র দিয়ে রক্ত চাপ মাপা হয়ে থাকে। তাই রক্ত চাপ মাপার পর millimeter of mercury সংক্ষেপে mm of Hg লেখা হয় । পারদ বা mercury এর রাসায়নিক সংকেত হল Hg.
সিস্টোলিক রক্তচাপ (Systolic Blood Pressure) বাম নিলয়ের সংকোচনের (Contraction) ফলে সৃষ্টি হয়। ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (Diastolic Blood Pressure) বাম নিলয়ের শিথিলতার (Relaxation) ফলে হয়ে থাকে। সিস্টোলিক রক্তচাপ ১০০-১৪০ মিঃ মিঃ মার্কারী এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০-৯০ মিঃমিঃ মার্কারীর মধ্যে থাকলে একে স্বাভাবিক রক্তচাপ (Normal Blood Pressure) বলে।
উচ্চ রক্তচাপের অর্থ হচ্ছে গড় স্বাভাবিক রক্তচাপের তুলনায় সব সময় সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বেশী থাকা এবং নিম্ন রক্তচাপের অর্থ হচ্ছে স্বাভাবিকের তুলনায় সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কম থাকা। রক্তচাপ মাপার যন্ত্রকে স্ফিমোম্যানোমিটার (Sphygmomanometer) বলে ।
খুব উচ্চ রক্তচাপ এবং খুব নিম্ন রক্তচাপ উভয়ই অসুখের লক্ষণ। বিভিন্ন কারণে রক্তচাপ প্রভাবিত হয়। যদি রক্তনালী ফুলে যায় বা প্রসারিত হয় যেমন- এলার্জিক প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায় অথবা রক্তের তরল পদার্থ কমে যায় বা রক্তক্ষরণের ফলে রক্তের পরিমাণ কমে যায়, তখন সাধারণতঃ রক্তচাপ কমে যায়। এ অবস্থাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। রক্ত নালী কোন কারণে সরু অথবা সংকোচিত হয়ে গেলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। এ অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) বলা হয়।
0 Comments